মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে মনোহরগঞ্জে অবহিতকরণ সভা

খবরটি শেয়ার করুন

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা সংযোজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে মনোহরগঞ্জে এ কর্মসূচির আলোকে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মনোহরগঞ্জ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আফজালুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মমিনুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী এন্ড অবস) ডা. জেবুন্নাহার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেশিয়া) ডা. এনামুল হক, মনোহরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জিএম আহসান উল্লাহ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুজ্জামান, উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার ওবায়দুল হক তারেক, ব্র্যাক এর প্রতিনিধি রাশেদ সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ।
সভায় বলা হয় বয়ঃসন্ধির সূচনা লগ্নেই এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীদের সিংহভাগ ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমানের শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। একারণে ১০ বছর বয়সী ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৫ম শ্রেণি ও ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীদেরকে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করার পর পরবর্তী বছর থেকে শুধু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত কিশোরীদের একটি নির্দিষ্ট মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অক্টোবর ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ৪ সপ্তাহ বা ১ মাস যাবত অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী মোট ১৮দিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তন্মধ্যে প্রথম ১০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এই টিকাগ্রহিতাদের রেজিস্ট্রেশন চলছে এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুলের ছাত্রীদের ২৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় রুটিন ইপিআই টিকাদান সেশন প্ল্যান অনুযায়ী চলমান থাকবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে যথানিয়মে চলবে।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে মনোহরগঞ্জে অবহিতকরণ সভা

আপডেট এর সময় ১২:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
খবরটি শেয়ার করুন

জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা সংযোজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে মনোহরগঞ্জে এ কর্মসূচির আলোকে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মনোহরগঞ্জ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আফজালুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মমিনুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী এন্ড অবস) ডা. জেবুন্নাহার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেশিয়া) ডা. এনামুল হক, মনোহরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জিএম আহসান উল্লাহ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুজ্জামান, উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড সুপারভাইজার ওবায়দুল হক তারেক, ব্র্যাক এর প্রতিনিধি রাশেদ সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিনিয়র স্টাফ নার্সবৃন্দ।
সভায় বলা হয় বয়ঃসন্ধির সূচনা লগ্নেই এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীদের সিংহভাগ ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমানের শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। একারণে ১০ বছর বয়সী ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৫ম শ্রেণি ও ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীদেরকে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করার পর পরবর্তী বছর থেকে শুধু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং ১০ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত কিশোরীদের একটি নির্দিষ্ট মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অক্টোবর ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ৪ সপ্তাহ বা ১ মাস যাবত অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী মোট ১৮দিন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তন্মধ্যে প্রথম ১০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে, এই টিকাগ্রহিতাদের রেজিস্ট্রেশন চলছে এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুলের ছাত্রীদের ২৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় রুটিন ইপিআই টিকাদান সেশন প্ল্যান অনুযায়ী চলমান থাকবে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে যথানিয়মে চলবে।