সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনোহরগঞ্জ রাস্তায় মিশুক চালানোকে কেন্দ্র করে

গ্রাম্য সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ৪

খবরটি শেয়ার করুন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে রাস্তায় মিশুক চালানোকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে নড়াই বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম বাবুল মিয়া (২৭) তিনি সাতেশ্বর নতুন বাড়ীর সোলেমান মিয়ার ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- দুলাল, মন্নান ও মনির। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতেশ্বর গ্রামের করিম উদ্দিনের বাড়ীর জাহাঙ্গীরের ছেলে হৃদয় (২৪) সে একজন মিশুক চালক। রোববার সকাল ১১ টার সময় নড়াই বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে মিশুক চালিয়ে যাচ্ছিলো হৃদয়। রাস্তায় মধ্যে এলাকার কয়েকজন শিশুরা খেলা করেছিল। তখন হৃদয় শিশুদেরকে নিয়ে খারাপ উক্তি করলে ও-ই বাড়ীর এমরান, মন্নানসহ কয়েকজনের সাথে মিশুক চালক হৃদয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়। এলাকার দেলোয়ার, সাবেক মেম্বার আবদুল মতিন, বেলাল মজুমদার, হাবিব, সিদ্দিক ও মালেকসহ রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় সাতেশ্বর পূর্ব পাড়া মমতাজ মিয়ার দোকানে
গ্রাম্য সালিশ বসেন তারা। সালিশে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লাগে। এসময় হৃদয়ের পক্ষের শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে
অন্তর, রুবেল, সুমন, রিপন ও ইভু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এমরান ও মন্নানের পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় বাবুল মিয়ার পিঠে ও গাঁড়ে কুপের আগাতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন বাবুল সহ আরও চার ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক বাবুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। বাবুলের মৃত্যুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজনকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাবুল মিয়া নামের একজন মারা যান। সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

মনোহরগঞ্জ রাস্তায় মিশুক চালানোকে কেন্দ্র করে

গ্রাম্য সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ৪

আপডেট এর সময় ১১:০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
খবরটি শেয়ার করুন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে রাস্তায় মিশুক চালানোকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে নড়াই বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম বাবুল মিয়া (২৭) তিনি সাতেশ্বর নতুন বাড়ীর সোলেমান মিয়ার ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- দুলাল, মন্নান ও মনির। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাতেশ্বর গ্রামের করিম উদ্দিনের বাড়ীর জাহাঙ্গীরের ছেলে হৃদয় (২৪) সে একজন মিশুক চালক। রোববার সকাল ১১ টার সময় নড়াই বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে মিশুক চালিয়ে যাচ্ছিলো হৃদয়। রাস্তায় মধ্যে এলাকার কয়েকজন শিশুরা খেলা করেছিল। তখন হৃদয় শিশুদেরকে নিয়ে খারাপ উক্তি করলে ও-ই বাড়ীর এমরান, মন্নানসহ কয়েকজনের সাথে মিশুক চালক হৃদয়ের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়। এলাকার দেলোয়ার, সাবেক মেম্বার আবদুল মতিন, বেলাল মজুমদার, হাবিব, সিদ্দিক ও মালেকসহ রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় সাতেশ্বর পূর্ব পাড়া মমতাজ মিয়ার দোকানে
গ্রাম্য সালিশ বসেন তারা। সালিশে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লাগে। এসময় হৃদয়ের পক্ষের শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে
অন্তর, রুবেল, সুমন, রিপন ও ইভু দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এমরান ও মন্নানের পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় বাবুল মিয়ার পিঠে ও গাঁড়ে কুপের আগাতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন বাবুল সহ আরও চার ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক বাবুলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। বাবুলের মৃত্যুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজনকে লাকসাম সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাবুল মিয়া নামের একজন মারা যান। সেনাবাহিনী ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।