সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনোহরগঞ্জে গৃহবধূ আইরিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

খবরটি শেয়ার করুন

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে গুম করে রাখার দায়ে স্বামী সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলা সদর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবুল কালাম, নিহত গৃহবধূ আইরিনের স্বামী মামলার ১নং আসামি সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায় গত ২৭ অক্টোবর উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই গৃহবধূ ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে এলাকায় প্রচার করেন তার স্বামী।
নিহত আইরিন উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তাঁর তিন বছর বয়সী একটি ছেলে ও সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় ৯ বছর আগে সেলিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আইরিনের বিয়ে হয়।
এলাকাবাসী জানান, বাইশগাঁও গ্রামে সেলিমের নতুন বাড়িসংলগ্ন নদনা খালের পাড়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে এলাকাবাসী মাটিচাপা দেওয়া লাশের বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে বিকেলে ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই সেলিম এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারণা।
আইরিনের লাশ উদ্ধারের পরই স্বামী সেলিম মিয়া পালিয়ে যায়। পরে আইরিনের ভাই শাফায়াত হোসেন বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন বলেন, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে তিনি আসেন। ২১ অক্টোবর সকালে সেলিম মুঠোফোনে জানান, আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ওই দিন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেলিম আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো। সেলিম ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামী প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, আশা করি মামলার বাদী আইনি মাধ্যমে সঠিক বিচার পাবেন।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

মনোহরগঞ্জে গৃহবধূ আইরিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট এর সময় ০২:৪৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
খবরটি শেয়ার করুন

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে গুম করে রাখার দায়ে স্বামী সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলা সদর থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আবুল কালাম, নিহত গৃহবধূ আইরিনের স্বামী মামলার ১নং আসামি সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায় গত ২৭ অক্টোবর উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই গৃহবধূ ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে এলাকায় প্রচার করেন তার স্বামী।
নিহত আইরিন উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তাঁর তিন বছর বয়সী একটি ছেলে ও সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় ৯ বছর আগে সেলিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আইরিনের বিয়ে হয়।
এলাকাবাসী জানান, বাইশগাঁও গ্রামে সেলিমের নতুন বাড়িসংলগ্ন নদনা খালের পাড়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে এলাকাবাসী মাটিচাপা দেওয়া লাশের বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে বিকেলে ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই সেলিম এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারণা।
আইরিনের লাশ উদ্ধারের পরই স্বামী সেলিম মিয়া পালিয়ে যায়। পরে আইরিনের ভাই শাফায়াত হোসেন বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন বলেন, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে তিনি আসেন। ২১ অক্টোবর সকালে সেলিম মুঠোফোনে জানান, আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ওই দিন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেলিম আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো। সেলিম ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, তদন্ত কর্মকর্তা মামলার প্রধান অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামী প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, আশা করি মামলার বাদী আইনি মাধ্যমে সঠিক বিচার পাবেন।