মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনোহরগঞ্জে প্রতিমায় চলছে শিল্পীর রং-তুঁলির শেষ আঁচড়

খবরটি শেয়ার করুন

দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামীকাল ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকে কাঠি বাজিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। সারাদেশের মতো কুমিল্লার মনোহরগঞ্জেও চলছে দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি। এবছর মনোহরগঞ্জে ১২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। শেষ মুহূর্তে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে চলছে শিল্পীর রং-তুঁলির শেষ আঁচড়। শুরু হয়েছে আলোক সজ্জার কাজ। নির্বিঘ্নে এবং উৎসাহ উদ্দীপণায় যাতে দুর্গোৎসব উদযাপিত হতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করে পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলে আশস্ত করেছেন। পূজার নিরাপত্তায় আনসার, পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী থাকবেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যদুলাল দেবনাথ জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। পালা করে তারা পূজা মন্ডপ পাহারা দেবেন। পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবাহের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মনোহরগঞ্জ একটি শিক্ষিত-নন্দিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার জনপদ। পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেছেন। এবছর ১১ টি মন্ডপে প্রতিমা দিয়ে পূজা হবে এবং ১ টি মন্ডপে ঘটপূজা(প্রতিমা বিহীন) করা হবে। প্রশাসনের দেওয়া নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের পূজা কমিটি সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করবেন।
মনোহরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূজা শুরুর পূর্বেই সকল পূজা মন্ডপ পুলিশ টহলের আওতায় আনা হয়েছে। সাদা পোষাকেও নজরদারি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক উজালা রানী চাকমা জানান, পূজার উৎসবে যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম থাকবে। পূজার সময় সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে থাকবেন। মনোহরগঞ্জের প্রতিটি পূজা মন্ডপ সি সি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। যেখানে সংযুক্ত থাকবেন জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং আমি উপজেলা নির্বাহী। আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশেই এবারের দুর্গোৎসব উদযাপন হবে।

ট্যাগঃ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মনোহরগঞ্জে প্রতিমায় চলছে শিল্পীর রং-তুঁলির শেষ আঁচড়

আপডেট এর সময় ০৪:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
খবরটি শেয়ার করুন

দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামীকাল ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকে কাঠি বাজিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। সারাদেশের মতো কুমিল্লার মনোহরগঞ্জেও চলছে দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি। এবছর মনোহরগঞ্জে ১২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। শেষ মুহূর্তে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে চলছে শিল্পীর রং-তুঁলির শেষ আঁচড়। শুরু হয়েছে আলোক সজ্জার কাজ। নির্বিঘ্নে এবং উৎসাহ উদ্দীপণায় যাতে দুর্গোৎসব উদযাপিত হতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করে পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলে আশস্ত করেছেন। পূজার নিরাপত্তায় আনসার, পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী থাকবেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যদুলাল দেবনাথ জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। পালা করে তারা পূজা মন্ডপ পাহারা দেবেন। পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবাহের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মনোহরগঞ্জ একটি শিক্ষিত-নন্দিত অসাম্প্রদায়িক চেতনার জনপদ। পূজাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলেছেন। এবছর ১১ টি মন্ডপে প্রতিমা দিয়ে পূজা হবে এবং ১ টি মন্ডপে ঘটপূজা(প্রতিমা বিহীন) করা হবে। প্রশাসনের দেওয়া নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের পূজা কমিটি সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করবেন।
মনোহরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূজা শুরুর পূর্বেই সকল পূজা মন্ডপ পুলিশ টহলের আওতায় আনা হয়েছে। সাদা পোষাকেও নজরদারি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক উজালা রানী চাকমা জানান, পূজার উৎসবে যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম থাকবে। পূজার সময় সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে থাকবেন। মনোহরগঞ্জের প্রতিটি পূজা মন্ডপ সি সি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। যেখানে সংযুক্ত থাকবেন জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং আমি উপজেলা নির্বাহী। আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশেই এবারের দুর্গোৎসব উদযাপন হবে।