আবু ইউসুফ
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্নস্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন উপজেলা জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের জামায়াত ও ছাত্র শিবির নিজ নিজ এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্যে কাজ করছেন।
কয়েকদিনের চলমান অতি ভারী বৃষ্টি, ভারতের আকস্মিক বাঁধ ছেড়ে দেয়ায় আগ্রাসী পানির তোড়ের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ডুবে গেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলার ৯০ ভাগ এলাকা। উপজেলার বাইশগাঁও, হাসনাবাদ, সরসপুর, নাথেরপেটুয়া, বিপলাসার, উত্তর হাওলা, খিলা, মৈশাতুয়া, ঝলম দ¶িণ, ঝলম উত্তর, লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়া অসহায় মানুষগুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির। উপজেলা সদর, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে শুরু করে প্রত্যান্ত অঞ্চলে হাঁটু থেকে গলা সমান পানি সাঁতরে বন্যার্তদের ঘরে ঘরে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দেয়াসহ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন উপজেলা জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। দলমত নির্বিশেষে কেউ বাদ যায়নি উপহার সামগ্রী থেকে। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের সাহায্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এখানকার নেতাকর্মীরা। জামায়াত শিবিরের নিস্বার্থ এই পরিশ্রমে বেশ সাড়া পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। জামায়াত শিবিরকে ভালোবাসার অভিবাদনে সিক্ত করছেন অনেকে।
ঢাকা মহানগরী জামায়াতের শূরা সদস্য এবং আগামীতে মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদুর রহমান সোহাগের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ১০ হাজার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির। এছাড়া বন্যার্ততের সাহায্যে প্রতিদিন ছুটে চলছেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাকসাম পৌরসভার আমির জয়নুল আবেদী পাটওয়ারী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোহরগঞ্জ উপজেলার আমির হাফেজ নুরনবীসহ উপজেলা, ইউনিয়নের জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ। আগামীদিনের মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাণ্ডারি, জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান সোহাগ বলেন স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটলেও, আমরা বিভিন্ন গ্রামে যেখানে নৌকা ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়, সেসব গ্রামের বাড়িতে আটকে পড়া লোকজনের মাঝেও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বন্যার্তদের সাহায্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ নুরনবী বলেন বন্যায় আটকেপড়া লোকজনকে উদ্ধার এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা মাঠে কাজ করছি। স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে