শিক্ষার্থীদের জন্য আমার অফিস সবসময় খোলা থাকবে। এটা প্রক্টর অফিস না, এটা সেবার রুম। আমি আমার সাধ্যমতো শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সহযোগিতা চাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নতুন প্রক্টর গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম এই কথা গুলো সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ থেকে জানা গেছে, গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবদুল হাকিমকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধিত আইন- ২০১৩ এর তফসিলের ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
ড. মোঃ আবদুল হাকিম ১৯৭২ ইংরেজিতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিতোষী আর. এম. উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে (পিএইচডি) উচ্চতর ডিগ্রী নেন। জনাব ড. মোঃ আবদুল হাকিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ২০০০ সালে গণিত বিভাগে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন, পরবর্তীতে একই বছর কর্ফুনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, শাহরাস্তি চাঁদপুরে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপর ২০০৪ সালে কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন প্রভাষক পদে। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে ২০০৭ সালে গণিত বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০১১ সালে সহকারী অধ্যাপক এবং ২০১৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন। জনাব ড.আবদুল হাকিম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, পরবর্তীতে তিনি কাজী নজরুল ইসলাম হলে প্রতিষ্ঠাকালীন আবাসিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গণিত বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ড. মোঃ আবদুল হাকিম বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তার বেশকিছু প্রকাশিত আর্টিকেল দেশি এবং বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ও প্রশংসিত হয়েছে। ছাত্রবান্ধব শিক্ষক হিসেবে তিনি যখনই যে প্রতিষ্ঠানে ছিলেন প্রশংসিত হয়েছেন এবং ছাত্রদের বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা গ্রহণ করেন।