কুমিল্লার মনোহরগজ উপজেলায় হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিপুরে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে মিজি ব্রিক ফিল্ড নামক একটি ইটভাটা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। জানা যায় মিজি ব্রিক অবৈধভাবে পরিচালনার কারণে গত ১৬ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা অফিসের উপ- পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব এর সাক্ষরিত ব্রিক ফিল্ডটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য একটি নোটিশ জারি করেন, কিন্তু নোটিশ পাওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশকে তোয়াক্কা না করেই এখনো অবৈধভাবে চলছে ইট ভাটাটি। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স, এবং অন্যান্য কোন কাগজপত্র নবায়ন না থাকার কারনে মিজি ব্রিক ফিল্ডটি বন্ধ রাখার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিশ প্রদান করা হয়, কিন্তুু উক্ত নোটিশ কে অমান্য করে অবৈধভাবে এখনো ফিল্ডটি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর গত ২১ মার্চ কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং এসিল্যান্ড মনোহরগঞ্জ অভিযান চালিয়ে হাসনাবাদের মনিপুর গ্রামে মিজি ব্রিকস নামে অবৈধ এই ইটভাটার কাগজপত্র না থাকায় চিমনি গুড়িয়ে দেয়া হয়। গুড়িয়ে দেয়ার দুদিন পর আবারো ভাটাটি চালু করে ইট পোড়ানো শুরু করে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এনিয়ে সচেতন মহলে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে ২০১০ সালে কমলপুর গ্রামের আবদুর রহমান নামে এক প্রবাসী পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে ইটভাটাটি চালু করে। এর ২০১২ সালে ব্যবসায়িক পার্টনারদের সাথে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে আবদুর রহমানকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করে। এরপর থেকে জিয়াউর রহমান, সাহাব উদ্দিন মিলে ভাটাটি পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু আবদুর রহমানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও গত ১২ বছরেও আর নবায়ন করেনি তারা। গত একযুগ ধরে অবৈধভাবেই চলছিলো ইটভাটাটি। এনিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাননা।
স্থানীয় সূত্রে যায় উপজেলায় মিজি ব্রিক এর প্রকৃত মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মামলা চলমান রয়েছে, এবং একই এলাকার নুরুল্লা মিয়ার ছেলে মো: আব্দুর রহমান মমিন। ,আবদুর রহমান বলেন আমাকে আমার নিজ মালিকানা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও স্হানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
তবে সরজমিনে তদন্ত করে এবং ব্রিক ফিল্ডের কাগজ পত্র দেখে জানা যায় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন সহ ফিল্ডর সকল কাগজ আবদুর রহমান মমিনের নামে, এমনকি ইনকাম টেক্স ২০২৪ সাল পর্যন্ত আবদুর রহমান এর নামে পরিশোধ করা।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বলেন. মিজি ব্রিক ফিল্ডটির ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় আমরা বন্ধ রাখার নোটিশ দিয়েছি, নোটিশ পাওয়ার পরও যেহেতু ব্রিক ফিল্ডটি তারা এখনো চালু রেখেছে তাই তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে।